মুখোশের আড়ালে শ্রীল প্রভুপাদ।
আমরা সবাই অভয় চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কে মোটামুটি চিনি, যিনি ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। উনি শ্রীল প্রভুপাদ নামেও পরিচিত। সনাতনী এবং বৈষ্ণবরা উনাকে সাক্ষাৎ কৃষ্ণ রূপে দেখেন,যদিও তিনি একজন সাধারণ এবং অতি চতুর ব্যক্তি ছিলেন। চতুরতার আড়ালে তিনি ধর্ম প্রচার করতেন,এবং এমন এমন কিছু মন্তব্য উনি করেছেন কিংবা ইসকন থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বইতে তিনি এমন এমন কথা বলেছেন যে উনাকে ভন্ড বলতেও অনেকে পিছপা হবেন না। তপস্যা করে তার বিজ্ঞানের জ্ঞান এত অসাধারণ যে তা বড় বড় বিজ্ঞানিদের অজ্ঞান করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। আসুন দেখিনি তিনি কৃষ্ণপ্রেম এবং তপস্যা করে কি কি জানতে পেরেছেন।
১১ ই মে ১৯৭৫ সালে মর্নিং ওয়াক কথোপকথনে প্রভুপাদ দাবি করেছেন,
চরম হাস্যকর একটি দাবি। যারা মোটামুটি প্রাইমারি শিক্ষাও পেয়েছেন,উনারাও রাহু গ্রহের কথা শুনে এবং চাঁদ ও সূর্যের মাঝে রাহুর কক্ষপথ আছে শুনে হেসে মরে যাবেন। যারা গ্রহণ সন্মন্ধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা রাখেন উনারা প্রভুপাদের এই দাবি দেখে রীতিমতো হেঁচকি তুলতে বাধ্য হবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবং বৈষ্ণবরা এটাকে “কথার কথা” বলে চালিয়ে দেন কিংবা “রূপক” বলে চালিয়ে দিয়ে বক্তব্যটিকে সযত্নে লালিত করে যাচ্ছে,কিন্তু উপরের বক্তব্য দেখে সেটা যে রূপকধর্মী কোনো বক্তব্য নয়,সেটা সহজেই বোঝা যায়। তাছাড়া বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রভুপাদ সূর্য্য ও চাঁদের অবস্থান সন্মন্ধ্যে ভগবৎ ভাষ্য তে বলেছেন,
তাছাড়া পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ এর সম্মন্ধে বলেছেন,
চাঁদের আলো স্নিগ্ধ তা আমরা সবাই জানি,কিন্তু প্রভুপাদের মতো স্নিগ্ধ কিনা তা পাঠকরাই বিবেচনা করবেন।
যাইহোক এতো গেল বিজ্ঞানের মা-বাপ করা। এবার বিবাহিতদের জন্য খুব বাজে খবর দিয়েছেন আমাদের এই প্রভুপাদ। উনার মতে তো বিবাহিত বা প্রেমিকরা এই জীবনে আর মুক্তি পাবেন না। কি? মানতে পারছেন না? নিচের ছবিটা মিলিয়ে দেখে নিন।
যাইহোক এতো গেল বিজ্ঞানের মা-বাপ করা। এবার বিবাহিতদের জন্য খুব বাজে খবর দিয়েছেন আমাদের এই প্রভুপাদ। উনার মতে তো বিবাহিত বা প্রেমিকরা এই জীবনে আর মুক্তি পাবেন না। কি? মানতে পারছেন না? নিচের ছবিটা মিলিয়ে দেখে নিন।
শুধু তাই নয়, তিনি চরম নারী বিদ্বেষী এবং নারীদের অবদমিত করে রাখার সপক্ষেও ছিলেন। ধর্ষণ সম্মন্ধে মর্নিং ওয়াক কথোপকথনে তিনি বলেন,
কি রকম নোংরা মনোবৃত্তি দেখুন। মহিলারা নাকি ধর্ষণ পছন্দ করে। এরূপ নোংরা মনোবৃত্তি নিয়ে তিনি কি করে পৃথিবীতে কৃষ্ণ প্রেম বিলি করতেন সেটা আমার মাথায় ঢোকে না। ধর্ষণ কাকে বলে উনি সেটা আদৌ জানেন তো? সাইকোলজির ‘স’ উনি জানেন? তাছাড়া নারী স্বাধীনতা সন্মধে ১৯৭৭ সালের ৫ই এপ্রিল মুম্বাইয়ের একটি কথোপকথনে ইন্দিরা গান্ধীকে “পতিতা” বলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন,
কি বিচিত্র বোকা বোকা এবং নোংরা চিন্তাধারা। শুধু তাই নয় ১৯৭৫ সালের ৯ই নভেম্বর ধনঞ্জয় কে লেখা একটি চিঠিতে প্রভুপাদের চরম নারীবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে ধনঞ্জয় কে তিনি লেখেন,
শিশুকন্যা জন্ম দেয়া প্রভুপাদের মতে একটি “ডিফেক্ট”।
তাছাড়া প্রভুপাদের পশুবৃত্তি মনোভাব প্রকাশ পায় ১৯৬৯ সালের ১২ ই এপ্রিল নিউ ইয়র্ক এ “রুম কনভারসেশন” এ।
তাছাড়া মহিলাদের বুদ্ধিমত্তা কে প্রভুপাদ চূড়ান্তভাবে অপমান করেছেন ২৬ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭২ এ শ্রীমদ ভাগবতম লেকচারে। সেখানে প্রভুপাদ বলেছেন,
পাঠক বিবেচনা করুন একজন কতটা গণ্ডমূর্খ এবং সল্পবুদ্ধিসম্পন্ন হলে এহেন মন্তব্য করতে পারেন। যদি উনার কথা সত্যি হয় তাহলে হাইপেশিয়া,হানা,জি.ই.এম.অ্যন্সকম্বে,মেরি কুরী,রোজালিন্ড ফ্র্যাংকলিন,লিজ মেইটন্যার– ইনারা কে ছিলেন? ইনারা কি মূর্খ ছিলেন?
তারপর ১৯৭৩ সালের ৪ঠা জানুয়ারি মধুকারা কে লেখা চিঠিতে আবার নারীদের সন্মধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তিনি।
তারপর প্রভুপাদ তার বই শ্রীমদ ভাগবতম ৪.২৫.৪১ এ বলেছেন,
পাঠক আপনিই বিচার করুন,প্রভুপাদ আদৌ সুস্থ মস্তিষ্কর অদিকারী ছিলেন কিনা।
এরপরও লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে মায়াপুরে ১৯৭৭ সালে ২৭শে ফেব্রুয়ারি রুম কনভারসেশন এ দাঁত কেলিয়ে শিশু বিবাহকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন,
উক্ত কথোপকথনেই প্রভুপাদ গর্বিত হয়ে নির্লজ্জের মতো বড় গলা করে দাবি করেছেন যে তিনি একটি ১১ বছরের মেয়ে কে বিবাহ করেছিলেন।
১৯৭২ সালের ৭ই নভেম্বর মিস্টার লয় কে লেখা একটি চিঠিতে আরো নারীদের নিয়ে আরো অনেক কথা বলেছেন উনি। তারপর ১৫ই আগস্ট ১৯৭১ সালে লন্ডনে রুম কনভারসেশন এ তিনি আরো কুরুচিকর কথা বলেছেন,বিশেষ ভাবে তিনি বলেছেন,
কিছু বলার মতো ভাষা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আর। এরপর প্রভুপাদ শ্রীমদ ভাগবতম ৪.২৫.৪২ এ বলেছেন,
হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে। যে মহিলার স্বামী নেই সে নাকি অনাথ।এমন কথা যে কোনো মানুষের মুখ দিয়ে বেরোতে পারে সত্যি ভাবা যায় না, যদিও উনি মানুষ ছিলেন কিনা সেই বিষয়েই আমি সন্দেহ প্রকাশ করি।
তারপর মহিলাদের শিক্ষা প্রসঙ্গে এবং বহুবিবাহ কে একপ্রকার সমর্থন করে ১৯৭২ সালের ১৮ ই সেপ্টেম্বর লস এঞ্জেলেস এ তিনি বলেছেন-
এইগুলো তো গেলো কৃষ্ণপ্রেম এর নামে গুরুকেচ্ছা এরপর সনাতন ধর্মের প্রসঙ্গে আসা যাক। সনাতনের সৃষ্টি যার থেকে সেই পরম পুরুষ দেবাদিদেব মহাদেব শিবকে নিয়ে তার চিন্তা কি আসলেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না যে আদৌ হিন্দু ছিল কিনা? নিচের ছবির আন্ডারলাইন ও হাইলাইট অংশগুলি পড়ুন।
প্রভুপাদ ভাবতেন তিনি যা বলবেন সেটাই প্রমানহীনভাবে সঠিক,আর বাকিরা সবাই মূর্খ। অনেকেই আছেন স্বামীজীকে খুব পছন্দ করেন। পাশাপাশি ইস্কনের সাথেও লাফিয়ে বেড়ান। অবশ্যই উনাদের মনে হতে পারে এখানে অবশ্যই প্ররভুপাদ বাজে কিছু অবশ্যই বলবেন না। কিন্তু তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে তিনি বিবেকানন্দ কে রাস্কেল বলেছেন। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে?বেশ দেখে নিন ওহ হ্যাঁ উনি কিন্তু ঋষি অরবিন্দকেও উনার ঘৃণার লিষ্টে রেখেছেন।
স্বামীজিকে যখন ছাড়েন নি তো উনার গুরুকে কি ছেড়ে দিবেন? তাই কখনো হয়? নীচে দেখুন রামকৃষ্ণ ও সারদাকে নিয়ে প্রভুপাদ কি বলেছেন।
উপরিউক্ত তথ্য গুলো বিচার করলে তাহলে বোঝাই যাচ্ছে প্রভুপাদ কি আসলেই একজন ধর্ম গুরু নাকি একজন ছদ্মবেশী কুটিল ধর্ম ব্যাবসায়ী। এরপরেও কি আপনারা ইস্কনে যাবেন? ওদের আপনার রক্ত জল করা টাকা দিবেন? ওদের কে সমর্থন দেবেন?সেটা আপনার বিবেচনা।
Emoticon