BLANTERVIO103

ইসকনকে বিশ্লেষণ

ইসকনকে বিশ্লেষণ
Sunday, April 19, 2020
দয়া করে পুরোটা পোড়ে মন্তব্য করুন। সমালোচনা স্বাগত। তবে তা গঠন্মূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
কৌষিক রায়ের লেখা থেকে সংগ্রহীত।

সনাতনী হিন্দুরা যারা মনে করেন আমরা নাস্তিক/ মুসলিম / বা বিভেদ তৈরি করার চেষ্টায় লিপ্ত তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন..

আপনারা কি মনে করেন সনাতন ধর্ম কি শুধুমাত্র কৃষ্ণ কেই নিয়ে চলে? নাকি আরও দেবদেবী আছে আমাদের?
পঞ্চদেবতার পূজা করা হয় আমাদের ধর্ম মত অনুযায়ী...
পঞ্চদেবতা পূজা বা পঞ্চায়তন পূজা হল হিন্দুধর্মের স্মার্ত সম্প্রদায়ের একটি পূজার পদ্ধতি। কথিত আছে, অষ্টম শতাব্দীর হিন্দু দার্শনিক আদি শঙ্কর পঞ্চদেবতা পূজার প্রবর্তন করেন। এই পদ্ধতিতে পাঁচ দেবতার পূজা হয়: গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ও দুর্গা। স্মার্ত পারিবারিক নিয়ম অনুসারে, এই পঞ্চদেবতার একজন থাকেন কেন্দ্রে এবং বাকিরা কেন্দ্রীয় দেবতাকে ঘিরে থাকেন। ছোটো মূর্তি বা পাঁচ ধরনের বিশেষ পাথরে বা মাটিতে আঁকা বিশেষ চিত্রে (যন্ত্র) পঞ্চদেবতার পূজা হয়। পঞ্চদেবতার একজনের মূর্তি বা প্রতীক পূজকের ইষ্টদেবতা রূপে কেন্দ্রে থাকে। অন্যরা তাকে ঘিরে থাকে।
স্মার্তরা এই পঞ্চদেবতাকে পৃথক দেবতা হিসেবে না দেখে একই সগুণ ব্রহ্মের পাঁচটি রূপভেদ মনে করেন। স্মার্ত মন্দিরগুলির গর্ভগৃহে পঞ্চদেবতা পূজার জন্য বিশেষ আসন দেখা যায়। উদাসী সম্প্রদায়ও পঞ্চদেবতা পূজা করে।

শিব,দূর্গা,গনেশ,বিষ্ণু ও সূর্য এনারা পঞ্চমতের পঞ্চদেবতা..
🕉♥যারা শিবের উপাসক তারা শৈব নামে পরিচিত।
卐♠যারা দূর্গা/কালীর (শক্তি)উপাসক তারা শাক্ত নামে পরিচিত।
🐘♣যারা গনেশের উপাসক তারা গানপত নামে পরিচিত।
🦅♦যারা বিষ্ণুর উপাসক তারা " বৈষ্ণব " নামে পরিচিত।
🌞🌄 যারা সূর্য দেবতার উপাসক তারা সৌর নামে পরিচিত।

এনাদের কোনো একজনকে অপমান করা মানে বাকি সবাইকে অপমান করা।
যদি আপনি প্রকৃত শিক্ষিত সনাতনধর্মী হন তবে এটা অস্বীকার করতে পারবেন না।

এবার ভেবে দেখুন....
বৈদিক মতে রুদ্রের আরেক নাম শিব। শিবলিঙ্গ (শিব = মঙ্গলময়/কল্যাণময় + লিঙ্গ = প্রতিকচিহ্ন) প্রকৃত অর্থে সদা শিব পরমাত্মা পরমব্রহ্মের নিরাকার জ্যোতি স্বরূপের প্রকাশ। যার পূজাতে সমস্ত দেবদেবীর পূজা হয়। কারন শিবলিঙ্গের একদম নীচে ব্রহ্মা ও তার উপরে বিষ্ণু তার উপর গৌরীকুন্ড অর্থাৎ শক্তিপীঠ(দূর্গা) ও তার উপরে সর্বোচ্চ তে স্বয়ং মহাদেব শিব তার মূল স্বরূপ নিরাকার রূপে অবস্থান করেন। তাই শিবলিঙ্গের পূজা করায় সমস্ত দেবদেবীর পূজা করা হয়।

মা দুর্গা বা মা কালী শিব পত্নী জগত্মাতা পার্বতীর শক্তি রূপ। শাক্ত বলা হয় শক্তির পূজারীদের। এছাড়াও গনেশ হলেন শিব ও মাতা পার্বতীর পুত্র। গানপত বলা হয় গনেশের ভক্তদের। তাই শৈব শাক্ত ও গানপত দের মধ্যে খুবই গভীর মিল রয়েছে। সূর্য দেবতার ভক্তদের সৌর্য বলা হয়। সূর্য দেব নিজের শিব ভক্ত ছিলেন শাস্ত্র তার প্রমান। স্বভাবতই এই চারটি মতের মধ্যে একই যোগসূত্র বিদ্যমান রয়েছে। ফলে এদের মধ্যে একতা অনেকাংশেই বেশি।

এবার আসা যাক পরবর্তী প্রসঙ্গে....

বৈষ্ণব বলতে আমরা জানি যারা নারায়ন অর্থাৎ বিষ্ণু দেবতার ভক্ত। বিষ্ণু জগতের পালনকর্তা।তাই জগতে ধর্ম কে অধর্ম থেকে রক্ষা করতে চিরকাল সর্ব মূল সনাতনশাস্ত্র মতে, শ্রীবিষ্ণু অবতার রূপে পৃথিবীতে অবতরন করেন। তার দশ অবতারের ঘটনা আমরা সবাই জানি। সেই অবতার গনের মধ্যে অষ্টম অবতার হল শ্রীকৃষ্ণ।

শ্রীকৃষ্ণের ঘটনা সবাই জানেন। শ্রীকৃষ্ণ যে বানীর মাধ্যমে আলো ছড়িয়ে ছিলেন। সে গুলি মহাভারতের পাতায় স্বর্নাক্ষরে গ্রথিত রয়েছে। এই বানী তার নিজের ছিলো না। তিনি ছিলেন যোগীদের শ্রেষ্ঠ যোগীশ্বর। তিনি যখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ময়দানে অর্জুন কে ব্রহ্ম জ্ঞান দান করেছিলেন তখন তিনি যোগযুক্ত হয়েছিলেন।ফলে পরমব্রহ্ম নিজের জ্ঞান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীমুখ থেকে প্রদান করিয়েছিলেন। অনেকেই হয়তো শাস্ত্র বই খুলে দেখে না তাই এ বিষয়ে তারা অতটা খুটিয়ে দেখেনি। যাই হোক শ্রীকৃষ্ণ নিঃসন্দেহে ভগবান।
আমরা জানি শ্রীকৃষ্ণ শিবের উপাসক ছিলেন। তিনি শিব আরাধনা করে "শাম্ব" নামের পুত্রের বর লাভ করেন। এছাড়াও তিনি পান্ডবগনকে বারংবার শিবের পূজা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

তাছাড়া বিষ্ণুর সমস্ত অবতার শিবের আরাধনা করতো.... যেমন, পরশুরাম পরমশিবভক্ত ছিলেন। শ্রীরাম পরমশিবভক্ত ছিলেন। তিনি যে শিব ভক্ত ছিলেন তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ রামেশ্বর মন্দির।
শ্রীকৃষ্ণ ও শিবভক্ত ছিলেন। তিনি মহাভারতের অনুশাসন পর্বে মহাদেব শিবের স্তব স্তুতি করেছেন।
যারা প্রকৃত বৈষ্ণব তারা বিষ্ণু ও তার অবতারগনকে সমান মনে করেন। তারা প্রকৃত বৈষ্ণব। কারন তারা অন্য ভক্তদের আরাধ্য কে অপমান করেন না। তারা ঈশ্বরকে এক মানেন ও সমান চোখে শ্রদ্ধা করেন। যারা শিব বিষ্ণু দূর্গা গনেশ সূর্য কে এক মানেন তারাই প্রকৃত বৈষ্ণব। কারন হিংসা মহাপাপ।ভেদাভেদ মহাপাপ। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের সমাজে আজ পর্যন্ত কোনো শৈব শাক্ত গাণপত বা সৌর্য রা কখনওই বৈষ্ণব সম্প্রদায়কে হিংসা করেনি আর করেও না। কারন তারা সমানতাকে মানে তাই তারা অভেদ মতবাদে বিশ্বাসী।

তাহলে সমস্যাটা কোথায় ?

সমস্যা টা হলো.... আমাদের সমাজের মাঝখানে গজে ওঠা নতুন ধরনের বৈষ্ণব সংস্কৃতি....

যাদের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন,
১👉এরা ঘোর শিব বিরোধী। শিব দূর্গা কালী হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের দাস ও দাসী। এরা শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রসাদ কে উচ্ছিষ্ট হিসাবে আবার ভগবান পরমেশ্বর শিবকে দিয়ে দ্বিতীয়বার পূজা করে। তাদের ভাট বক্তব্য হল, "শিব পরম বৈষ্ণব,তিনি কৃষ্ণের দাস। তাই তিনি কৃষ্ণের প্রসাদ খেতে বড়ই ভালোবাসেন"
এরা বলে বেড়ায় শিবের ভক্তরা নাকি আসুরিক চরিত্রের হয়।শিবভক্তরা নাকি অসুর হয়। শিবভক্তদের পাষন্ড বলেন এই সভ্যভদ্র নতুন গজিয়ে ওঠা কল্পিত বৈষ্ণব রা।
💥শিবের ভক্তরা অসুর ও তার জবাব : https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=154840109213267&id=107128563984422

🔴সনাতনীর প্রশ্ন : নিজেদের মনগড়া গল্প অনুযায়ী শিবকে দাস কেন? মানুষ ও বানিয়ে দিতে পারিস তোরা.. তার আগে বল....
❔রাম,পরশুরাম এমনকি তোদের আরাধ্য কৃষ্ণ পুত্র লাভের জন্য কার পূজা করেছিলেন?
➡যদি শিবভক্তরা অসুর হয় তবে
❔ শ্রীকৃষ্ণ ও কি অসুর?
❔রাম অসুর?
➡নারায়ণ সুদর্শন চক্র পেয়েছিলেন শিবের পূজা করে।
❔নারায়ন অসুর?
❔আসল মহাভারতের অনুশাসন পর্ব ঘেটে দেখেছিস?

২👉মহাভারতের আসল সংস্কৃত বই ও অনান্য শাস্ত্র, উপনিষদ ও কিছু পুরাণ বই থেকে বাংলা অনুবাদ করে যে বই বের করে সেখানে কিছু কিছু ঠিক অনুবাদের সাথে নিজেদের মনগড়া গল্প ঢুকিয়ে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ওদের অনুবাদ করা মহাভারত বা উপনিষদ বা অনান্য পুরানের বাংলা বইয়ের সমস্ত কিছুই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে। কারন তারা এটাই ভাবে যে যেহেতু গুলো সনাতন হিন্দু শাস্ত্রে লেখা আছে সেহেতু এগুলোই চরম সত্য। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এদের একটা খুব বড়ো বৈশিষ্ট্য। বেদ পড়ার কথা বলে নিজেদের শাস্ত্র বিকৃত গল্প পড়িয়ে ওদের মতই হিংস্র কুলাঙ্গার তৈরি করে হিংসার বীজ ঢুকিয়ে। যৌন উত্তেজনা কে প্রশ্রয় ও শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে কলঙ্ক লাগিয়েছে এদের লেখা বই গুলো...
বেদে বলা হয়েছে
💥ভন্ডদের ভন্ড মনগড়া গল্পতে কৃষ্ণের চরিত্রে কলঙ্ক লাগালো : https://www.facebook.com/groups/1714603802004669/permalink/1816512441813804/

🔴সনাতনীর প্রশ্ন :
❔তোরা যে সমস্ত কল্পিত গালগল্প লিখিস সে গুলো যে সত্যি তার মান্যতা কে দিয়েছে?
❔শ্রীকৃষ্ণ?

৩👉 এদের সবথেকে বড় হাস্যকর একটা গালগল্প হল, কৃষ্ণের অবতার হচ্ছেন শ্রীনারায়ন। এতোদিন সনাতনধর্মের মূল শাস্ত্র থেকে এটাই চিরসত্য যে বিষ্ণুর দশাবতারের অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ। আর এরা উল্টো পুরাণ পড়াচ্ছে। বিষ্ণুর থেকেও কৃষ্ণ নাকি বড়। এরা শুধুমাত্র কৃষ্ণ কে মানেন। এদের মতে, বৈকুন্ঠধামের(বিষ্ণুলোক)থেকেও নাকি উচ্চ এদের মনগড়া গোলকধাম।

🔴সনাতনীর প্রশ্ন :
❔মহাভারত পড়েছিস কখনো?
❔বিষ্ণু পুরাণ পড়েছিস কখনো?
❔ তোরা তো বিষ্ণু কেই মানিস না, তবে বৈষ্ণব হলি কোত্থেকে ?
যারা বিষ্ণু ও কৃষ্ণ ভক্ত তারা বৈষ্ণব। তোরা তো বিষ্ণু র কৃষ্ণ কে আলাদা চোখে দেখিস.. তবে
❔শুধুমাত্র কৃষ্ণ ভজলে বৈষ্ণব কি করে হোস? ➡তোরা তো বৈষ্ণব না। তোরা কৈষ্ণব। নিজেদের বৈষ্ণব বলবিনা কৈষ্ণব বলবি।
❔বলবি তো ???

৪👉 এরা এত বড় ভক্ত হয়ে গেছে যে, কৃষ্ণ ছাড়া অন্য দেবদেবীর পূজার প্রসাদ গ্রহন করেনা। গ্রহন তো দূরে থাকুক ছুতে পর্যন্ত চায়না। আহা ছুয়ে ফেললে ওদের নাকি পাপ লাগবে। ওগুলো প্রসাদ নয় ওগুলো তামসিক গুণে ভরা। তাই তারা ঘৃনা পায়।

🔴সনাতনীর প্রশ্ন :
➡তোদের মনগড়া গল্পের বই ছাড়া এমন কোন ধর্ম গ্রন্থের পাতায় লেখা আছে যে দেবদেবীর প্রসাদ তামসিক।তাদের প্রসাদ খাওয়া যাবে না...
❔এমনটা কোথায় লেখা আছে?

৫👉মহাভারত,ভাগবত পুরাণ,হরিবংশীয় পুরাণ,ব্রহ্মবৈর্বত পুরাণ ছাড়া বাকি পুরান গুলো নাকি তামসিক। তাই ওই তামসিক পুরাণ পড়লে পাপ লাগবে।তাই ওরা ওগুলোকে পড়তে বারন করে সাধারণ মানুষদের।বিশেষ করে শিব পুরাণ ও লিঙ্গ পুরাণ হল ওদের দুচক্ষুর বিষ।ওটাকে বিশেষ বিশেষ করে পড়তে মানা করে এরা।

💥ভন্ডদের শাস্ত্র বিকৃত করার প্রমাণ : https://m.facebook.com/groups/711431225575907…

🔴সনাতনীর প্রশ্ন :
❔ভূগোল পড়ে কেউ যদি গনিতের সম্পর্কে জ্ঞান দিয়ে বেড়ায়। তাহলে কেমন হয়?
➡হিংস্র কৃষ্ণভক্ত শিবমহিমাকে বর্ণনা করে কৃষ্ণ ভিত্তিক পুরাণের ওপর ভিত্তি করে।তাই তার সাথে আরো মনগড়া গল্প ঢুকিয়ে বেশ আচ্ছা করে শিবের মহিমা কে বাঁশ দেয়। আর ওদের শয়তানি যাতে না ধরা পড়ে যায় তাই তামসিক বলে মহাপাপ হওয়ার ভয় ঢুকিয়ে দেয় মানুষের মনে।যাতে কেউ শিব পুরাণ পড়ে শিবের আসল মহিমা না জেনে ফেলে।জেনে ফেললেই পর্দা ফাঁস ভন্ডদের....
❔ঠিক বলছি তো ???

৬👉 এরা নিজেদের মনগড়া গল্প দিয়ে শিব পার্বতীকে হাসিরপাত্রপাত্রী বানায়। ভুলভাল তথ্য দিয়ে শাস্ত্র জ্ঞান দেয় জনসাধারনকে। এরা নাকি বেদের মধ্যে যীশু আর মুসলিম দের হজরত মুহাম্মদ কে খুজে পেয়েছে। এদের এইসব মোল্লা ধরনের কথা বার্তাকে কেউ ধরিয়ে দিতে গেলেই সেই ব্যক্তি এদের কাছে মুসলমান হয়ে যায়। এরা নাকি বেদের মধ্যে খুজে পেয়েছে শ্রীকৃষ্ণই পরম ভগবান।আর বাকি দেবদেবীরা তার দাসদাসী।

🔴সনাতনীর প্রশ্ন : পাপী কারা সেটা স্পষ্ট। কারা মোল্লা সেটা বোঝাই যাচ্ছে। বেদ না পড়ে বেদ বেদ বলে চিল্লামিল্লি করে লোকের ব্রেনওয়াশ করা হচ্ছে।
❔তা আপনারা বেদের কোন আর কত নম্বর শ্লোকে মোল্লা আর যীশু কে খুজে পেলেন ? ➡উত্তর অবশ্যই দেবেন....
❔শ্রীকৃষ্ণ কে যে ভগবান বলা হয়েছে সেটা বেদের কোন জায়গায় লেখা আছে ?
➡ছাড়ুন....
❔আপনারা শুধু এটুকু বলেন যে, বেদের কোথায় শ্রীকৃষ্ণ শব্দ টা উল্লেখ করা রয়েছে ?

৭👉সবার সামনে লীলা বলে তলায় তলায় অসভ্য কার্য করে চলে মহিলাদের সাথে। মাতাজী নামধারী মহিলারা এর শিকার।অবশ্য তারাও ওদের মতই। মুখে কেষ্ট কেষ্ট আর পেছনে কত কীর্তি।আহা....

💥ভন্ড কল্পিত বৈষ্ণবের মাতাজীর লোভের কান্ড ফাঁস : https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=197768678253743&id=107128563984422

🔴সনাতনীর প্রশ্ন :
তোদের নাকি কামনা বাসনা নেই তবে
❔কিভাবে এত্ত মাতাজী প্রিয় ?
❔অন্যের বউয়ের সাথে পর্দার আড়ালে লটর পটর করে.... সেটাকে লীলা বলে চালাচ্ছো ?
❔নিজেকেও কেষ্ট ভাবছো না তো ?

৮👉 এরা কারোর ছোয়া খান না। এরা হচ্ছেন মহাপবিত্র। এরা নিজেরা রান্না করে খাবে তাও অন্যের হাতের বানানো খাবার মরে গেলেও খাবেন না। অন্যান্যরা তামসিক।এনারা যেন স্বর্গথেকে নেমে এসেছেন তাই পাপিদের ছোয়া খাবেন না। ওরে আমার গোঁসাই রে........ যেন আর কেউ মানুষ নয়।

🔴সনাতনীর প্রশ্ন :
বাহ্ রে বাহ্ আমার ছুচী গোঁসাই... সারাজীবন অন্যের ছোয়া খেয়ে বড় হলি... অন্যের চাষ করা ধান ভাঙানো চাল খেলি,অন্যের বানানো ধুতি পড়লি, অন্যের টাকায় চলছিস ফিরছিস আনন্দ ফুর্তি করছিস। মাতাজী নিয়ে ডান্স দিচ্ছিস।
❔ তখন ছোঁয়াছুঁয়ি হয়না ?
❔তোদের শরীর চন্দন আর বাকিরা সব ছাই ?
❔ভেদাভেদ ভুলে এক হওয়ার চেষ্টা করেছিস কোনোদিন ?
❔নিরামিষ তো খাচ্ছিস বলবি মাতাজী দের সাথে থাকা ব্যক্তিরা নিরামিষাশী হয়?
যখন এতই ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় তবে চাষবাসটাও নিজে করিস... পৃথিবীটাও ছুয়ে আছে অন্যদের আর তোদেরও ছুঁয়ে আছে...... এবার বল তোরাও অচ্ছুত হয়ে গেলি...
❔তোরাও কি তাহলে পাপী ?

৯👉 এরা মায়ের হাতের খাবার কে পাপ বলে।এরা মায়ের হাতের রান্না সেবা করেন না। ওরে আমার বৈষ্ণব রে.........

🔴সনাতনীর প্রশ্ন : ❔যখন জন্ম নিয়েছিলি তখন মনে হয়নি যে তোরা মায়ের পেটেই জন্মেছিলি তাই তোরা নিজেরাই পাপী?
➡যে মা হাড়ভাঙ্গা কষ্ট সহ্য করেও জন্ম দিল..... যে মা খাইয়ে দাইয়ে এত বড় করলো.....
❔আজকে তার হাতে খাওয়া পাপ বলছিস পাপিষ্ঠ ?
➡মা জগতের প্রথম গুরু তার মধ্যেই ভগবান বিরাজমান ।
❔তার হাতের রান্না খাওয়াকে পাপ বলছিস তোরা?

১০👉 এনারা সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী পরম ছুচী বৈষ্ণব........... এরা বলেন আমরা জড় জগতের মোহ মায়া হিংসা লোভ কামনা বাসনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই সন্ন্যাস নিয়ে সন্ন্যাসী হয়েছি ।

🔴সনাতনীর প্রশ্ন : হ্যা ঠিক ঠিক.....
সারা জীবন মা বাবা নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সব কষ্ট বুকে চেপে রেখে কততত কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়ে মানুষ করল।এই আশায় যাতে বৃদ্ধ বয়সে বয়স্ক বাবা মা ছেলের আশ্রয়ে থাকতে পারে... কিন্তু হঠাৎই একদিন জানতে পারে তারা যে তাদের বুকের ধন সন্ন্যাস নিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে গেছে... কয়েকদিন পর মাথা কামিয়ে টিক্কি রেখে "হরে কৃষ্ণ" নাম করছে সারাদিন। নামেই সব নামেই ভক্তি নামেই মুক্তি। এসব জ্ঞান দিচ্ছে আরো মানুষকে.........মুখে বলে বেড়াচ্ছে সংসারের মোহ মায়া কামনা বাসনা ত্যাগ করে সন্ন্যাস নিয়েছি ভগবানের নাম করার জন্য। ❔কিন্তু আদতে কি এরা সন্ন্যাসী ?
🔍ধনীভক্তরা দক্ষিনা দিয়ে যাচ্ছে.. সেই দক্ষিনা হাত পেতে নিয়ে লাখপতি হচ্ছেন সন্ন্যাসীরা.... এটা হচ্ছে মোহ ত্যাগ 😂
🔎মাতাজী নিয়ে ধুতি তুলে নাচ....... দেশী বিদেশী মাতাজীর লোভে পড়ে সন্ন্যাস গ্রহন করা.... ফেসবুকে শারীরিক চাহিদা মেটাতে অন্য মহিলা কৃষ্ণ ভক্ত কে প্রস্তাব দেওয়া ও অশ্লীল ছবি ভিডিও পাঠানো এবং গুপ্ত ধর্ষন..... এগুলো হচ্ছে কামনা ত্যাগ 🤣
🔍ভক্তের টাকায় আরাম আয়েশ করার জন্য নিজের গাড়ি কেনা, আইফোন,ল্যাপটপ,এসি কিনে মস্তি.......এগুলো হচ্ছে বাসনা ত্যাগ 😜
🔎নিজের সনাতন ধর্মের ভগবান শিব দূর্গা কে অস্বীকার করে মোল্লাকে সনাতন ধর্মের বেদে খুজে বের করা..... এটা হল মায়া ত্যাগ😤😡

ভন্ড কল্পিত বৈষ্ণব সন্ন্যাসীর ত্যাগী জীবনের নিদর্শন : https://www.facebook.com/712336142186577/posts/2778521325568038/

এটা তোদের সন্ন্যাস জীবন?
এদিকে বুড়ো বাবা মা অনাহারে মৃত্যুর দিন গুনছে......

শুনুন যারা বলছেন এরা বৈষ্ণব। তারা মহা মূর্খ.......
অনেকেই চাটাম মারার জন্য বলবে... একজন দুজন এমনটা করে বলে সবাইকে তো দোষারোপ করা যায়না।
তাদের উদ্দেশ্যে বলি... ওদের সিস্টেমটাই আমি তুলে ধরেছি... ওদের কালচারটা আমি তুলে ধরেছি.. ওদের প্রতিটা বৈষ্ণব গেরুয়া বেশধারী এক একটা ভন্ড। ওদের শুরুই হয়েছে ভন্ডামি দিয়ে... তো একজন দুজন ভন্ড নয় সবকটাই ভন্ড। ওদের গুরু ভন্ড ছিল... তার মনগড়া গল্প ছিল ভন্ড।সেগুলো পড়ে পড়ে আরো ভন্ড তৈরি হয়েছে।
🔵যারা বলবেন যে, যাই হোক সনাতন হিন্দু ধর্ম কে এরাই বিদেশে প্রচার করছে আর কেউ পারছে না... আপনারা পারবেন এরকম প্রচার চরতে?
তাদের জবাব......
ওদের ভন্ড গুরু প্রথমেই বিদেশকে টার্গেট বানিয়ে সেখানে অন্য ধর্মের মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে কৃষ্ণনামের পথে আনে অধর্মের আদলে।যেহেতু ভন্ড একটু ইংরেজি জানতো তাই সুবিধা হয়ে গেছিলো বিদেশে প্রচার করতে। এর ফলে বিদেশ থেকে টাকা আসতে শুরু করে..ভন্ড গুরু বড়োলোক হতে শুরু করে... এরপর ভন্ড গুরু শাস্ত্র বিকৃত মনগড়া গল্প লিখে ছাপিয়ে বিক্রি করতে ও এই কল্পিতগল্প কীর্তনের মাধ্যমে প্রচার প্রসার করে.... বিদেশ থেকে টাকা আসতে থাকে....... ধর্মের নামে হিংসা ছড়াতে থাকে....... আমরা বোকা হিন্দুরা ভাবতে থাকি এরাই আমাদের প্রচার করছে..... আদতে তারা যে হিংসা ও গ্লানি ছড়াচ্ছে.... লোভ দেখিয়ে ঘরের ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছে মাতাজী দেখিয়ে.... শিব বিরোধী তৈরি করছে... সব ধর্ম শাস্ত্র কে ভুল ব্যাখ্যা করছে... ভেদাভেদ ছড়াচ্ছে...... বেদ মুখে বলছে আর পড়াচ্ছে ওদের লেখা বিকৃত বই। আমজনতা বুঝতেই পারছেনা। অনেকেই ভেবে বসে আছে এই সব ভন্ড বৈষ্ণব আমাদের হিন্দু সনাতন সমাজের মাথা...........

এবার জনতার কাছে আমার একটাই প্রশ্ন......
যদি পঞ্চদেবতা আমাদের সনাতনধর্মীদের আরাধ্য হয় তবে
🔥কেন শুধুমাত্র বৈষ্ণব একটা সম্প্রদায় থাকবে? আর বাকিরা অপমানিত হবে আমাদের সনাতনী সমাজে?
🔥শিব দূর্গা গনেশ সূর্য এরা কি আমাদের ঈশ্বর নয় এরা কি দেবতা নয়?
🔥যদি শৈব সম্প্রদায়ের শিবের অপমান হয় তবে কি সেটা খুব আনন্দ জনক সনাতন হিন্দু দের জন্য ?
🔥যদি কল্পিত বৈষ্ণব দের ভন্ডমি আমরা বাকি শৈব শাক্ত শুদ্ধ বৈষ্ণব গানপত ও সৌর্য সম্প্রদায়রা প্রমাণসহ তুলে ধরি তবে তার জন্য আমরা বিধর্মী হিসেবে কেন বিবেচিত হবো ?
🔥আমরা মুসলিম এমন বক্তব্য কেন শুনতে হয় আমাদের ? শিব ভক্তরা মুসলিম হয়? শুদ্ধ বৈষ্ণব রা মুসলিম হয়? শাক্তরা মুসলিম ? গানপতরা মুসলিম? সৌর্যরা মুসলিম?

🔥কেন বিবেকানন্দ হিন্দু সনাতন ধর্ম প্রচার করেন নি? তিনি এত হিংসা ভেদাভেদ ছড়িয়েছিলেন? তিনি এত ভক্তের টাকায় বিলাসিতা করেছিলেন ? তিনি তো কততত মঠ মিশন আশ্রম বানিয়ে দিয়ে গেছেন যার কল্যাণে আজ বহু ভারতীয়র ও মানবের কাছে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে...
কিন্তু এইভন্ড বৈষ্ণব রা কি করেছে? ওদের ব্যবসার জন্য শুধু ওদের মন্দির তৈরি করেছে..... যেখানে এসব অধর্মের কান্ডকারখানা চলে...

বিশেষ ঘোষনা : আমরা কেউ কৃষ্ণ বিরোধী নই। আমি নিজেও কৃষ্ণভক্ত। কিন্তু সমাজের অসভ্য বর্বর নতুন কল্পিত বৈষ্ণব দের আমি অপছন্দ করি। কারন এরা হিংসা প্রচার করে, ধর্ম নয়।

এতক্ষন যে কল্পিত বৈষ্ণব ওরফে কৈষ্ণব দের নিয়ে আলোচনা করলাম সেই অশুদ্ধ সম্প্রদায়ের নাম - ইসকন🚫
অনেকে বলবেন.. সব বুঝলাম কিন্তু নিজের ধর্মের কেন বদনাম রটাচ্ছেন ? একেই মুসলিমরা আমাদের উল্টো পাল্টা কথা বলে। এখন এটা নিয়েও যদি বলে?

সনাতন ধর্মে বহু কুসংস্কার ছিল।যেমন তার ভয়াবহ এক মারাত্মক প্রথার নাম - সতীদাহ প্রথা। এটাও ঐ কল্পিত বৈষ্ণব ব্যাটাদের কাজ।
সেটা বন্ধ করে রাজা রামমোহন রায় ভালো নাকি খারাপ করেছিলেন?
বরং আমাদের মধ্যের গোড়ামী ও কলঙ্ক মুক্ত হয়েছিল। তাই জেনে রাখুন নিজেদের মধ্যে থাকা কলঙ্ক মুছুন। নিজেদের শুদ্ধ করে তারপর লড়াই করতে যাবেন। মুসলিম রা এদের ভন্ড গল্প নিয়েই আমাদের হাসাহাসি করে তখন সহ্য করেন কিভাবে ? মনে রাখবেন যে নিজের দোষ ঢাকে সে মহাপাপী.....

শিব দুর্গা বিষ্ণু কৃষ্ণ গনেশ সূর্য সবাই কে যে সমানভাবে শ্রদ্ধা করে তারাই প্রকৃত সনাতন হিন্দু। যে নিজেরটা বড় অন্যেরটা ছোট এমন মানসিকতা রাখে সে অধর্মী।

ॐ শান্তি
জয় শ্রীকৃষ্ণ
হর হর মহাদেব
জয় মা দুর্গা
Share This Article :

TAMBAHKAN KOMENTAR

Click here for comments 3 Comments:

  1. দাদা খুব ভালো লিখেছেন। কিন্তু এই ইসকন তো আমাদের ধর্ম কে নুংরা ও নষ্ট করতেছে। ওরা বেদের বাইরে কথা বলে। ওদের হিংসা সহ্য করার মতো নয়।

    ReplyDelete
  2. আহ্ ভাই হবিগঞ্জ আসলে বুক মিলিয়ে যাবেন❣️

    ReplyDelete
7599550894000336510