ইসকনের ভন্ডামিঃ- →উপানিষদে শ্রীবলরামঃ-
Monday, February 10, 2020
সত্যের অন্বেষণেঃ-
→
😁ইসকনের( ISKCON) গ্রন্থগুলো পড়লে সত্যিই খুব আনন্দ পাওয়া যায়, বিশেষ করে ইসকনি মহাপুরুষরা বেদাবেদান্তে যে বিষয়গুলো খুজে পান, কিন্তু অন্য মহাপুরুষেরা খুজে পান না, তা খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার হয়ে যায়। তো এবার মূল বিষয়ে আলোচনা করি।
.
→নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্য।
→অনুবাদঃ- শ্রীবলরামের কৃপা ছাড়া পরমাত্মা বা আত্মাকে উপলব্ধি করা যায় না। (মুণ্ডক উপঃ ৩/২/৪)
.
✔এই মন্ত্রটি তুলে ধরা হয়েছে ইসকন( ISKCON) কতৃক প্রকাশিত "বৈষ্ণব শ্লোকাবলী" নামক গ্রন্থের ১৮৩ পৃষ্ঠায়।
.
😀সত্যিই এই মন্ত্রটির অনুবাদ খুবই হাস্যকর ও অযৌক্তিক, এই জন্যই যে ইসকন( ISKCON) অনুবাদক এখানে বলরামকে খুজে পেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে মুণ্ডক উপনিষদে বলরাম তো দুরের কৃষ্ণেরও লেশ মাত্র উল্লেখ্য নেই। #যা সম্পূর্ণ মনগড়া ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তো এবার আমরা এই উপনিষদের সম্পূর্ণ মন্ত্রটি দেখে নিই।
যথাঃ-
→নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্য ন চ প্রমাদাত্তপসো বাপ্যলিঙ্গাৎ।
ঐতেরুপায়ৈর্যততে যত্ত বিদ্বাং- স্তস্যৈষ আত্মা বিশতে ব্রহ্মধাম।।
→অনুবাদঃ- অাত্ম-নিষ্ঠা-জনিত বীর্য্য যাঁহার নাই, সে এই আত্মাকে লাভ করিতে পারে না। ঔদাস্যদ্বারা এবং সন্ন্যাসরহিত জ্ঞানদ্বারাও তাঁহাকে লাভ করা যায় না। কিন্তু যে জ্ঞানী ব্যক্তি এই সমস্ত উপায়ে, অর্থাৎ বীর্য্য অপ্রমাদ এবং সন্ন্যাসযুক্ত জ্ঞান, এই ত্রিবিধ উপায়ে যত্ন করেন, তাঁহার আত্মা ব্রহ্মধামে প্রবেশ করে।
.
→মূলত এখানে "বলহীনেন" দ্বারা আত্মনিষ্ঠাজনিত বীর্য্যকে বোঝানো হচ্ছে, বলরামকে নয়। 'অয়ম আত্মা' 'বলহীনেন' অর্থ্যাৎ আত্মনিষ্ঠাজনতি বীর্য্য হীনেন।।
.
❌এখন কথা হচ্ছে যে, এই ইসকন(ISKCON) সনাতন শাস্ত্রগ্রন্থের অপব্যাখ্যা করে আমাদের বিভ্রান্ত করছে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়??
❌আর এই ISKCON একটি বৈষ্ণব সংগঠন হয়েও এভাবে বেদবেদান্তের অপব্যাখ্যা করছে সেটা কি মেনে নেওয়া যায়??? কি করে বিশ্বাস করবেন এদের??
👪আপনারা স্বয়ং বিবেচনা করুন??
Prepared By
Skd Deb
Share This Article :
Emoticon