এক জায়গায় একটি স্যাকরার দোকান ছিলো। তারা পরম বৈষ্ণব, গলায় মালা, তিলক সেবা, প্রায় হাতে হরিনামের ঝুলি আর মুখে সর্বদাই হরিনাম। সাধু বললেই হয়, তবে পেটের জন্য স্যাকরার কর্ম করা; বউ,ছেলেমেয়েদের তো খাওয়াতে হবে। পরম বৈষ্ণব, এই কথা শুনে অনেক খরিদ্দার তাদেরই দোকানে আসে; কেননা, তারা জানে যে, এদের দোকানে সোনা-রূপা গোলমাল হবে না। খরিদ্দার দোকানে গিয়ে দেখে যে, মুখে হরিনাম, করছে, আর বসে বসে কাজকর্ম করছে। খরিদ্দার যাই গিয়ে বসল, একজন বলে উঠল, ‘কেশব! কেশব! কেশব!’ খানিকক্ষণ পরে আর-একজন বলে উঠল, ‘গোপাল! গোপাল! গোপাল!’ আবার একটু কতাবার্তা হতে না হতেই আর-একজন বলে উঠল -- ‘হরি! হরি! হরি!’ গয়না গড়বার কথা যখন একরকম ফুরিয়ে এল, তখন আর-একজন বলে উঠলো -- ‘হর! হর! হর! হর!’ কাজে কাজেই এত ভক্তি প্রেম দেখে তারা স্যাকরাদের কাছে টাকাকড়ি দিয়ে নিশ্চিন্ত হল; জানে যে এরা কখনও ঠকাবে না।
“কিন্তু কথা কি জানেন? খরিদ্দার আসবার পর যে বলেছিল ‘কেশব! কেশব!’ তার মানে এই, এরা সব কে? অর্থাৎ যে খরিদ্দারেরা আসলো এরা সব কে? যে বললে, ‘গোপাল! গোপাল!’ তার মানে এই, এরা দেখছি গোরুর পাল, গোরুর পাল। যে বললে, ‘হরি! হরি!’ তার মানে এই, যেকালে দেখছি গোরুর পাল, সে স্থলে তবে ‘হরি’ অর্থাৎ হরণ করি। আর যে বললে, ‘হর! হর!’ তার মানে এই যেকালে গোরুর পাল দেখছো, সেকালে সর্বস্ব হরণ কর।’ এই তারা পরমভক্ত সাধু।” বর্তমান ইসকনের সাধুদের ও হয়েছে একই অবস্থা!😊গলায় মালা ঝুলিয়ে,তিলক কেটে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত তারা।শ্রীমদ্ভাগবত গীতার প্রায় প্রতিটি অধ্যায়ে ভগবান যেখানে বেদ কে সর্বোত্তম জ্ঞান বলে গেছেন,সেখানে প্রভূ বললেন বেদের দরকার নেই--ভাগবত পড়।খুবই ভালো কথা।তো ভাগবতের সার কি?সত্যং পরং ধীমহী।আর প্রভুরা বলে না তো??? লীলায় তো জীবনের উদ্দেশ্য!!😂শ্রীকৃষ্ণ বললেন--ছন্দের মধ্যে গায়ত্রী শ্রেষ্ঠ।আর প্রভুরা বললেন না মহামন্ত্র হচ্ছে "হরে কৃষ্ণ'।বেদব্যাস তথা গীতার রচয়িতা বললেন " ত্বং বৈষ্ণবীশক্তি অনন্তবীর্যা,বিশ্বস্য বীজং পরমসি মায়া....আর প্রভুরা জগজ্জননী কে বানিয়ে দিলেন দাসী!!😪মহাদেবের মাহাত্ব্য জানলাম গীতার অক্ষর-ব্রহ্ম যোগ অধ্যায় থেকে।আর প্রভূরা দেবাদিদেব কে বানিয়ে দিলেন শ্রীকৃষ্ণের সেবক।আসলে আমরা শাস্ত্র পড়িনা,পড়তে চাই ও না।কেউ তিলক আর মালা নিয়ে মিষ্টি কথা বললে মাছির মত ঝাপিয়ে পড়ি।মনে হচ্ছে হাটে,ঘাটে,মাঠে নৃত্য করেই ভগবৎ কৃপা লাভ সম্ভব।সকল সনাতনীদের প্রতি আমার অনুরোধ বেদ না পারলে উপনিষদ পড়ুন,তা না পারলে অন্তত গীতা টা পড়ুন।তবে প্রভুপাদের অপব্যাখ্যায় ভরা বিশ্লেষন নয়।সবার মধ্যে সত্যিকার ধর্মীয় জ্ঞান জাগ্রত হোক 🙏🙏🙏🙏
Prepared By
সুকান্ত চক্রবর্তী
গল্পের মাধ্যমে ধর্মশিক্ষা
Tuesday, March 3, 2020
Share This Article :
Emoticon